টি-২০ বিশ্বকাপে সুপার-১২ পর্বে কাল সকাল ৯টায় নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামবে সাকিব বাহিনী। কাল ম্যাচে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। যদিও ২০২১ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে কোন শীর্ষ দলের বিপক্ষে টি২০ ম্যাচে জয়ের স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ।
এই সময়ের মধ্যে মাত্র পাঁচটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। জয়গুলো ছিলো আফগানিস্তান-জিম্বাবুয়ে-সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে। সর্বশেষ জয়টি ছিলো নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।
মূলত তিনটি কারণে-সিডনিতে অবস্থারত বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশীদের সমর্থন, আগের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের সাথে পয়েন্ট ভাগাভাগির কারনে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের চাপে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা এবং এ ভেন্যু ঐতিহ্যগতভাবে স্পিন সহায়ক হওয়ায় আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার অন্য যে কোন ভেন্যুর তুলনায় সিডনিতে অনেক বেশি সুবিধা পায় উপমহাদেশের দলগুলো।
এ ছাড়া দলের পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টের অসাধারন নৈপুন্যে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ এমনটাই মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা অস্বীকার করছি না, তাদের বেশ কিছু বিশ্বমানের খেলোয়াড় রয়েছে। কিন্তু এটা ব্যাট-বলের লড়াই। আমরা সেরা পারফর্ম করার চেষ্টা করবো। তাদের বিপক্ষে আমাদের কিছু ভালো স্মৃতি আছে, হয়তো অন্য ফরম্যাটে সেগুলো। যা আমাদের মানসিকভাবে সাহায্য করবে। আমাদের জন্য সহজ বিষয় হলো-আমরা খেলাটা উপভোগ করতে চাই। আশা করছি বিপুল সংখ্যক দর্শক আসবে এবং আমাদের সমর্থন করবে। তাদের সমর্থনের প্রতিদান দিতে পারবো বলেই আমরা আশা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিডনিতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি রয়েছে। তাই এটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, তাদের সমর্থন নিয়ে আমরা কিভাবে আরও ভালো পারফর্ম করতে পারি।’
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম খেলায় জয় পাওয়ায় ভালো অবস্থায় আছে-বিশ্বাস করেন সাকিব। অপরদিকে, জিম্বাবুয়ের সাথে পয়েন্ট ভাগাভাগি করায় নতুনভাবে শুরু করতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। সাকিব বলেন, ‘প্রথম ম্যাচ খেলতে আপনি সবসময়ই চাপ অনুভব করবেন। আমাদের জন্য এটি এখন শেষ। কারণ আমরা ম্যাচটি জিতেছি। দক্ষিণ আফ্রিকা এক পয়েন্ট হারিয়েছে এবং তারা চাপে থাকবে। পরিকল্পনা কাজে লাগাতে আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে।’